আজকে টিউনটা শুরু করতে যাচ্ছি হ্যাকিং জগতের সেরা ১০ জন নারী হ্যাকারদের নিয়ে।
উইকিপিডিয়া
উইকিপিডিয়া
4. Joanna Rutkowska: সব হ্যাকাররা যে খারাপ নয় তার একটা
1. Jude Milhon: জিউড ১৯৩৯ সালে আমেরিকার ইন্ডিয়ানাতে জন্ম গ্রহন করেন। ইন্টারনেটের প্রথম দিকের উন্নয়নে তিনি নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে তার ক্যারিয়ার হ্যাকিং এর দিকে নিয়ে যান এবং ১৯৬৭ সালে তৈরি করেন প্রখ্যাত 'সাইবারপাঙ্কস' নামের হ্যাকিং গ্রুপ। তার জীবদ্দশায় যারা মনে করত হ্যাকিং কিছুই না তাদেরকে তিনি প্রমান করেন যে হ্যাকিং একটা ক্রিমিনাল আর্ট। তিনি হ্যাকিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপর অনেক বই লেখেন। পরবর্তীতে তার আর পৃথিবীতে থাকতে ভাল লাগে নি তাই ২০০৩ সালে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। থামেন ভাই একজন মানুষ মারা গেছে আর আপনি হাসছেন। ছি! ! তবে পৃথিবী ছাড়ার আগে তিনি একটি বিখ্যাত উক্তি করে যান "হ্যাকিং হচ্ছে তোমার সরকার, আইপি সার্ভার, তোমার ব্যক্তিত্ব অথবা ফিজিক্স এর সীমা অতিক্রম করার একটি চতুর প্রতারণা।"
(তথ্য গুলো সংগৃহীত)
10. Kristina Svechinskaya: রাশিয়ার নাগরিক ক্রিস্টিনা হ্যাকিং জগতের অন্যতম পরিচিত একটা মুখ। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সেরা ছাত্রী হওয়া সত্যেও তিনি অসৎ পথে পাড়ি জমান মিলিয়ন ডলার চুরির মাধ্যমে। 'জিউস ট্রোজান হর্স' টেকনিকের ওস্তাদ ছিলেন এই সুন্দরি মেয়েটা। সেটা ব্যবহার করে তিনি ব্যাংক অফ আমেরিকাতে বেশ কিছু ফেইক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। তিনি এবং আরো নয়জন মানুষ মিলে সেখান থেকে চুরি করেন প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার। তারপর ২০১০ সালের নভেম্বরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক কার্যক্রমেরমামলা করা হয় এবং ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উইকিপিডিয়া
9. Anna Chapman: আনা চ্যাপম্যান আরেকজন রুশ হ্যাকার। ক্রিস্টিনার মত তিনিও বেআইনি কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। বাস করতেন আমেরিকাতে। তিনি আমেরিকার অ্যাটর্নি জার্নাল এর অনুমতি ছাড়াই ভুয়া 'ফেডারেল গভর্নমেন্ট' এর এজেন্ট সাঁজার কারনে আমেরিকার নাগরিকত্ব হারান। এছাড়াও তিনি আমেরিকাতে 'কেজিবি গুপ্তচর' হিসেবে অভিযুক্ত হন। রাশিয়ায় ফেরার পর তিনি 'ইউনাইটেড রাশিয়ার' রক্ষী নির্বাচিত হন।
উইকিপিডিয়া
8. Gigabyte: এই বেলজিয়াম সুন্দরীর আসল নাম কিম ভ্যানভীক। সবাই হ্যাক করে চায় অন্য কারো গুপন তথ্য জানতে কিন্তু কীম ছিলেন অন্যরকম। বলা হয়ে থাকে ককোনাট-এ, শার্প-এ, সাহায়-এ এ ধরণের জঠিল ভাইরাসের নির্মাতা তিনি। এই ভাইরাসগুলা তৈরি করা হয়েছে সিস্টেম থেকে গুপন তথ্যগুলো এক্সট্রাক্ট করে সেগুলো ধ্বংস করার কাজে। ২০১৪ সালে তিনি ব্রাসেলে গ্রেফতার হয়েও জামিনে বেরিয়ে আসেন। তার উপর অভিযোগ আন হয় মানুষের ব্যক্তিগত ডাটা চুরি করে সেগুলো ধ্বংস করার জন্য। যার কারনে তিনি বর্তমানে ৩ বছরের কারাভোক করতেছেন। সাথে তার উপর ১০ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়।
উইকিপিডিয়া
7. Natasha Grigori: নাতাশা গ্রিগরিকে বলা হয়ে থাকে নারী হ্যাকারদের পথ প্রদর্শক। ১৯৮০ সালে একজন হ্যাকার হিসেবে তার ক্যরিয়ার শুরু করলেও তিনি সর্বাধিক পরিচিতি পান শিশু প*র্গ্রাফি এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য। ইন্টারনেটকে শিশু প*গ্রাফিমুক্ত রাখতে চালু করেন antichildpo*n.org। বিভিন্ন জঠিল অসুস্থতার করনে ২০০৫ সালে তিনি মারা যান। তবে তার ওয়েব সাইটের কার্যক্রম এখনও চালু আছে।
উইকিপিডিয়া
6. Adeanna Cooke: পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী হ্যাকার হলেন আদেনা কোকে। জীবনে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনাই তাকে হ্যাকিং জগতে পা রাখতে সাহায্য করে। হ্যাকার হওয়ার আগে তিনি ছিলেন একজন নিয়মিত মডেল। প্রায়ই প্লে বয় ম্যাগাজিনে পোজ দিতেন আর সেখান থেকেই তার হ্যাকিং ক্যরিয়ার শুরু। টাকার জন্য তার একজন সহকর্মী তার কিছু ব্যক্তিগত ফটো চুরি করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। তিনি সেটা জানার পর তার ওই সহকর্মীকে কিছুই বললেন না বরং যে সাইটে তার ফটো প্রকাশ করেছে সে সাইটটিই হ্যাক করে নিলেন। এই ঘটনার পর থেকে হ্যাকার কমিউনিটিতে পরিচিতি পান 'হ্যাকার পরী' নামে। যদিও পরবর্তীতে ওই ছবিগুলা ইন্টারনেটে লিক হয়ে যায়।
উইকিপিডিয়া
5. Raven Alder: র্যাভেন অ্যাডলার পৃথিবীর বাঘা বাঘা দক্ষ হ্যাকারদের একজন। তিনি বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য হ্যাক ডিটেকটিং সিস্টেম তৈরি করেন। র্যাভেন সবার নজরে আসেন ডেফকনে (DefCon) প্রথম নারী হিসেবে ভাষণ দেয়ার পর থেকেই। ডেফকন হল হ্যাকারদের একটা সম্মানজনক সম্মেলন যেখানে পৃথিবীর বড় বড় টেক জয়ান্টরা মিলিত হন। বক্তৃতার একপর্যায়ে বলেন তিনি 'নারী হ্যাকার' থেকে একজন হ্যাকার হিসেবেই পরিচিতি পেতে চান। হ্যাকিং ছাড়াও তিনি কারাটেতেও পারদর্শী।
4. Joanna Rutkowska: সব হ্যাকাররা যে খারাপ নয় তার একটা
দারুন উদাহরন পোল্যান্ডের নাগরিক জোয়ানা রোতকওস্কা ()। ২০০৬ সালে ডেফকন কনফারেন্সে উইন্ডোজ ভিস্তার দুর্বলতা প্রকাশ করে তিনি আলোচনায় আসেন। তিনি 'ব্লু পিল' নামে একটি টেকনিক উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে একটি চলন্ত অপারেটিং সিস্টেমকে ভার্চুয়াল মেশিনে চালানো সম্ভব। নিজেকে 'অপারেটিং সিস্টেম সিকিউরিটি অফিসার' ভাবতে ভালোবাসেন। প্রায়ই বিভিন্ন সিমিনারে তাকে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়।
উইকিপিডিয়া
3. Xiao Tian: শাও তিয়েন একজন চাইনিজ মেয়ে। এখানে উল্লেখিত সব হ্যাকারদের মধ্যে তাকে আমি সবচেয়ে সাহসী হ্যাকারই বলব। ২২০০ মেম্বারের 'চায়না গার্ল সিকিউরিটি সিস্টেম' নামে একটি হ্যাকিং গ্রুপ খুলে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই প্রসিদ্ধি লাভ করেন। গ্রুপটার প্রধান কাজ ছিল গুগল এর মত ক্ষমতাধর সার্চ ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে লড়াই। আর তাদের তিব্র সংঘবদ্ধ আক্রমনের কারনেই পরবর্তীতে গুগল তাদের সার্ভিস চায়না থেকে সরাতে বাধ্য হয়। 'চায়না গার্ল সিকিউরিটি সিস্টেমকে' পৃথিবীর সেরা হ্যাকিং গ্রুপের একটি বলা হয়ে থাকে। মজার ব্যপার হল সৌন্দর্য ও বেশভূষায় শাও তিয়েন কে যতটা না হ্যাকার মনে হয় তার চেয়েও বেশি মনে হয় তিনি একজন মডেল। তারও হ্যাকিং থেকে মডেলিং এর প্রতি আগ্রহ বেশি।
2. Ying Cracker: অবিশ্বাস্য মনে হলেও সাংহাই এর মেয়ে ইং ক্রা*কার একজন হ্যাকিং এর শিক্ষক। তিনি তার ছাত্র ছাত্রীদের বেসিক হ্যাকিং শিক্ষা দেন যেন কারো আইপি কিভাবে পরিবর্তন করতে হয়, কারো কিভাবে পরিবর্তন করা যায় ইত্যাদি। ৫ গিগা এর মধ্যে যেকোন সফটওয়্যারের ক্রা*ক বের করা করা তার কাছে ডাল ভাত। তিনি যে কোন সফটওয়্যার ক্র*ক করতে পারেন বলেই তার নামের পাশে ক্রা*কার শব্দটা জুড়ে দেয়া হয়েছে। হ্যাকিং এর জন্য তিনি টিউটোরিয়াল এবং কোর্স করান। আর এটাই তার আয়ের প্রধান মাধ্যম।
1. Jude Milhon: জিউড ১৯৩৯ সালে আমেরিকার ইন্ডিয়ানাতে জন্ম গ্রহন করেন। ইন্টারনেটের প্রথম দিকের উন্নয়নে তিনি নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে তার ক্যারিয়ার হ্যাকিং এর দিকে নিয়ে যান এবং ১৯৬৭ সালে তৈরি করেন প্রখ্যাত 'সাইবারপাঙ্কস' নামের হ্যাকিং গ্রুপ। তার জীবদ্দশায় যারা মনে করত হ্যাকিং কিছুই না তাদেরকে তিনি প্রমান করেন যে হ্যাকিং একটা ক্রিমিনাল আর্ট। তিনি হ্যাকিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপর অনেক বই লেখেন। পরবর্তীতে তার আর পৃথিবীতে থাকতে ভাল লাগে নি তাই ২০০৩ সালে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। থামেন ভাই একজন মানুষ মারা গেছে আর আপনি হাসছেন। ছি! ! তবে পৃথিবী ছাড়ার আগে তিনি একটি বিখ্যাত উক্তি করে যান "হ্যাকিং হচ্ছে তোমার সরকার, আইপি সার্ভার, তোমার ব্যক্তিত্ব অথবা ফিজিক্স এর সীমা অতিক্রম করার একটি চতুর প্রতারণা।"
উইকিপিডিয়া